চট্টগ্রামের সাগরবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। দ্বীপটি থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বহুদূর এগিয়ে গেলেও এই দ্বীপের মানুষের ভাগ্যের
কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির নিয়মিত জাহাজ না থাকায় লাখ লাখ মানুষকে সমুদ্রপাড়ি দিতে হয় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে।এ ক্ষেত্রে সন্দ্বীপবাসীর ভরসা জরাজীর্ণ স্পিড বোট ও পণ্যবাহী কাঠের ট্রলার। যে কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই জনপদের বাসিন্দাদের।
মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে হয় সন্দ্বীপবাসীর। ট্রলার ডুবে প্রাণ গেছে অনেকের। তবুও উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা না হওয়ায় হতাশায় সন্দ্বীপের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, এখানে আবহাওয়া একটু খারাপ হলেই নৌযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনের বেলা আসা-যাওয়া সম্ভব হলেও রাতের বেলা তা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, আমাদের মৃত্যু হাতে নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে হয়। আরেক মহিলা বলেন, আমাদের কষ্টের কোনো শেষ নেই। আমরা বহু কষ্ট করে যাতায়াত করি।
তবে আশার বাণী শোনাচ্ছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ৩০টি নতুন জাহাজ তৈরি হচ্ছে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া রুটে চলাচলের জন্য। সমুদ্রে নামানো গেলে এ-পথে মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।
বিআইডব্লিউটিসি উপ-মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ৩০টি জাহাজ তৈরির কাজ চলছে। এগুলো তৈরি হয়ে গেলেই চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌরুটে প্রতিদিন জাহাজ দিতে আমরা সক্ষম হবো। ’
সন্দ্বীপ ঘাটে উঠতে যাত্রীদের এখনো কাদা পেরিয়ে উঠতে হলেও উন্নত জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম। তিনি বলেন, ‘নতুন জেটি ঘাট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। ’
তবে অন্ধকার সন্দ্বীপে বিদ্যুতের আলো যখন পৌঁছেছে, যাতায়াত ব্যবস্থাও উন্নত হবে, এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।